আমাকে ডিজিটাল ভুতে পেয়ে বসেছে অনেক আগেই অর্থাৎ ২০০০ সালের দিকে। কারণ বিশ্বায়নতো অনেক আগেই ডিজিটালে রূপান্তর হয়ে গেছে কিন্তু দু:খের বিষয়, এ প্রসঙ্গ নিয়ে অনেকেই আমাকে কটুক্তি করে।
ভাগ্যিস বর্তমান সরকারের অত্যন্ত যৌক্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণায় নিজের কিছুটা সম্মান বাড়লো। তবুও তাদের যুক্তি হলো এদেশের প্রায় ৯৫% মানুষ বোঝে না “ডিজিটাল’ কী? তদুপরি যেখানে ডিজিটালের পূর্বশর্ত হলো বিদ্যুৎ আর এ বিদ্যুতের যে হাল কম্পিউটারে বসে ডিজিটালের ডি লেখার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়। কম্পিউটারে কাজ করতে বসা আর বাচ্চাদের লেফরাইট শিখানো একই কথা। গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নিয়ে লিখতে বসলে যেন বিদ্যুতের তার ছেঁড়া নয় যেন মাথার তারই ছিঁড়ে যায়। তখন নিজেকেইমনে হয়-- যার পরনের নেংটি যোগাড় করার পয়সা নেই সে আবার টাইশুটের ফ্যাশন দেখায়। তবে বর্তমান আমাদের ডিজিটাল সরকার সারা দেশের ডিজিটাল ভিক্ষুকদের একঘন্টা হলেও জ্বলে যে এরূম্মা চারখান ডিজিটাল বাত্তি দিয়াছেন, অন্তত কম্পিউটারে বসে ডিজিটাল বাংলাদেশ লেখার সময়টুকু হলেও পেয়েছি। ওয়াপদার দেওয়া ডিজিটাল বাত্তিগুলান ঘরে লাগানোর সাথে সাথে ঠুস ঠুস আওয়াজ হয়। বাচ্চারা বলে ওঠে ,বাবা তুমিতো বেলুন বাত্তি নিয়া আইলা। বাচ্ছার মা বলে , এটা তোর বাবার ডিজিটাল বাত্তি। হুমায়ূন আহম্মেদের একটা নাটকের দৃশ্যে দেখেছি তারিন জঙ্গলের লতাপাতা দিয়ে কম্পিউটার চালাচ্ছে আর আমরা এত্তো বিদ্যুৎ দিয়াও পারমু না কেন? আমাদের দেশে এমনও অনেক হাই-পাই বিল্ডিং আছে যেখানে বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসে টের পাওয়া যায় না এবং ওয়াপদা এলাকার মানুষেরতো জ্বালানির জন্য লাকড়ি-গ্যাস লাগে না, বিনাবিলের হিটারতো চলছেই দিনরাত।
No comments:
Post a Comment