বিষয়টি স্বাপ্নিক, কাল্পনিক, বৈজ্ঞানিক হলেও সুপারসনিক গতিতে অগ্রসরমান বিশ্বায়নের সাথে সংগতিপূর্ণ। বিশ্ব যে আজ ন্যানো(সেকেন্ড, পিকো(সেকেন্ড বা কোয়ান্টাম গতিতে বদলাচ্ছে সেদিকে হয়তো আমাদের তেমন নজর নেই। আমরা শুধু পাকিস্তানী(ধর্মীয় মৌলবাদীদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে বিশ্বখ্যাতি পেয়েছি সে খুশীতেই ৩০ বছর
পেরিয়েছে। বর্বর যুগ, সভ্য যুগ, আধূনিক যুগ পেরিয়ে বিশ্ব যে ডিজিটাল যুগে চলে এসেছে তা ভাবলে অত্যন্ত হতাশচিত্তে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার থাকে না।
তবুও পৃথিবীর অন্য দশজনের মতো আমিও স্বপ্ন দেখছি একটি ‘‘স্বপ্নীল(সুন্দর ঐশ্বর্যবহুল ডিজিটাল বাংলাদেশ” যা ২০০২ সালে খাগড়াছড়িতে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং ২০০৬(এ একটি পাহাড়ী ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেছি। বাংলাদেশ বাস্তবেই হয়ে উঠে যেন সেই রূপকথার রাজ্যের প্রতিবিম্ব এবং প্রতিবেশীদের জন্য ঈর্ষণীয় ও অনুকরণীয়।
কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা পাই(
ব্যর্থরাষ্ট্রের কলঙ্কচিহ্ন বাংলার ললাটে।
দুর্নীতিতে ডাবল হ্যাট্রিক করার দুর্বার গতিতে বাংলাদেশ।
সারা পৃথিবীতে শান্তিপ্রিয় জাতির বৈশিষ্টে আমরা প্রথম কিন্তু কলুষিত রাজনীতিতেও আমরা প্রথম।
সুশিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এগুলোতে আমরা অগ্রসর আর পশ্চায়নের দিক থেকে বিপরীত সমান্তরাল।
এই ডিজিটাল বিশ্বায়নে উন্নতবিশ্ব যেখানে ন্যানো সেকেন্ড বা পিকো সেকেন্ডের গুরুত্ব বোঝে সেখানে আমরা বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম স্থগিত বা বিদ্যুতের অভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন অলসভাবে বসে থেকে কলকারখানা, অফিস(আদালতের গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম না করে প্রতিপক্ষের সমালোচনায় অযথা সময় নষ্ট করতেও একটু দ্বিধাবোধ করি না। ृ১ পিকো সেকেন্ড. ১ সেকেন্ডের ১ ট্রিলিয়ন ভাগের ১ ভাগे
বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, সুশিক্ষা ছাড়া যেখানে উন্নয়ন প্রায় অসম্ভব, সেখানে এ অপরিহার্য ৩ সেক্টরের লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে আজ আমরা অল্পশোকে কাতর অধিকশোকে পাথর হওয়ার মতো।
এ স্যাটেলাইটের যুগে এসেও আমাদের এ স্বাধীন দেশে সেই কয়েকশ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ বিচারবিধিতে অর্থাৎ ‘‘পরের মুখে শেখা বুলি নটের মত কেন চলি’’ ছন্দে রাষ্ট্রীয় শাসনকার্য পরিচালনা করা হচ্ছে। যুগের আমূল পরিবর্তন হলেও নীতিরरপদ্ধতির পরিবর্তন হয়নি। আমরা ভাবছি না( ১০০ বছর আগের সার্বিক পরিস্থিতি আর ১০০ বছর পরের সার্বিক পরিস্থিতি এক নয়।
একটি বাস্তবমুখী শিক্ষাব্যবস্থা, উপযুক্ত শিক্ষক, পর্যাপ্ত শিক্ষালয় ছাড়া পৃথিবীতে কোন জাতির স্বপ্নপূরণ বিরল। অথচ আমাদের অবস্থা হচ্ছে( যার নাই কোন গতি সে করে পন্ডিতি, তদুপরি দুর্নীতি(স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের এমপিওভূক্তি, ব্যবসায়িক মনোভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু, আদর্শহীন লোকদের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অডিট কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষকদের দ্বারা কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের যৌন হয়রানী ইত্যাদি ছাড়াও যেখানে অখাতে, অপথে নষ্ট হয়ে যাওয়া হাজার কোটি টাকা থেকে মাত্র ৩र৪ শ কোটি টাকা শিক্ষাरশিক্ষকদের জন্য খরচ করাকে আমরা অক্ষমতা মনে করছি, সেখানে একুশ শতকের স্বপ্নবান চিন্তাধারাকে কেমন মানায়रु
বিদ্যুৎ(কম্পিউটারবিহীন সমাজरসেক্টরरজাতি যেখানে অবলুপ্তির পথে সেখানে ডডযধঃ রং ঈড়সঢ়ঁঃবৎ ধহফ যিধঃদং রঃং ভঁহপঃরড়হ(বি ফড়হদঃ শহড়ি এই নীতিতে কেমন স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে ভাবতে গেলে চিৎকার করে বলতে হয় (এই পি(পু। ফি(শো’র দল ९অলস(ঘুমন্ত०, ঘুম থেকে উঠ্ধসঢ়स, পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছিস তো।
পৃথিবীর মানুষ আলাদিনের চেরাগ ९কম্পিউটার० হাতে পেয়ে পৃথিবীটাকে যেমন খুশী তেমন নাচাচ্ছে। আর আমরা আলাদিনের চেরাগটা ‘‘চিনলি না চিনলি না, ঘাটের বোকা মাঝি’’র মতো বারবার ফেলে দিচ্ছি। কারণ কম্পিউটারের আসল সুফল পেতে হলে ইন্টারনেট ছাড়া সম্ভব নয়। আর সেই ইন্টারনেটের ফাইবার অপটিক্যাল লাইন গত ১৯৯১(৯২ সালের দিকে আমাদের বঙ্গোপসাগরের নীচ দিয়ে চলে গেছে, আর আমাদেরকে এর
আওতায় আনতে অফার দেয়া হলেও গোপন তথ্য ফাঁসের হাস্যকর অজুহাতে সেই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে
আমরা বোকা জাতি ভুল করিনি যেমনি করে একসময় নিজঘরে বিদ্যুাতায়ণকেও অযৌক্তিক মনে করতাম। এর পরে ১৯৯৭ সালেও আন্তর্জাতিক ডেটা(টারমিন্যাল সেন্টার ঢাকায় বসানো থেকেও বঞ্চিত। আর সেই সুবিধাগুলো এখন হাজার কোটি টাকা খরচ করে নেয়াও কষ্ট হয়ে পড়েছে। এমনকি জাতি উন্নয়নের বাস্তব রুট থেকে কয়েক দশক পিছিয়ে পড়েছে যা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া কাউকে বোঝানো যাবে না।
বর্তমানে কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ তথা ডিপার্টমেন্টাল হেড বা স্কুল(কলেজ শিক্ষকদের ধারণা( ‘‘ইহা টাইপ মেশিনের বিকল্প। অফিস আদালতে টাইপের কাজই কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায়। আগে টাইপ ছাড়া অফিস চলতো না, এখন কম্পিউটার ছাড়া অফিস চলবে না’’। কম্পিউটারকে এত ছোট করে দেখার কারণেই আজ আমরা এর সুফল পাওয়ার চেষ্টা করছি না এবং সুফল পাচ্ছি না। তাছাড়া ডিপার্টমেন্টাল হেডদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞত্ধাসঢ়स না থাকার কারণে এর ব্যবহার বা মেইনটেনেন্স(এর ক্ষেত্রে প্রচন্ড বিপাকে পড়তে হয়। অধীনস্থ কেউ ডিপার্টমেন্টাল প্রধানকে এ ব্যাপারে বোঝাতে চেষ্টা করলেও তিনি বুঝতে চান না। ফলে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলোতে কোটি কোটি টাকার কম্পিউটার, প্রিন্টার, কাগজ(কালি নষ্ট বা অপচয় হচ্ছে। পরিনামে কম্পিউটারের মাধ্যমে জাতি সুফল(এর চেয়ে কুফলই পাচ্ছে বেশী।
আজ আমাদের দেশে সবকিছু যেন উল্টো অর্থাৎ নামের বিপরীত কাম। যেমন( যারা রাজনীতি করার কথা আজ তারা রাজনীতি করে না। গ্রামের সেই অজ্ঞ, বখাটে ছেলেটা রাজনীতিতে পারদর্শী, আর সেই(ই হচ্ছে আমাদের নেতা, প্রশাসক, নীতি নির্ধারক। ২० একটা পাড়াগাঁ তথা কোন প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে দেখা যায় অপেক্ষাকৃত বেশী শিক্ষিত ভদ্র জ্ঞানী লোকটি ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে নিরিবিলি অবহেলিতভাবে জীবন কাটাচ্ছে আর অশিক্ষিত চরিত্রহীন চাপাবাজ মিথ্যুক লোভী লোকটিই সমাজ পরিচালনা থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা মসজিদ(মন্দিরও পরিচালনা করছে। ৩० বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএস থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে নিয়োগের বিষয়ে আজ আর কেউ উপযুক্ততাरদক্ষতা বিচার করে না, শুধু বিচার করে কে কাকে কত টাকা দিতে পারবে বা কে কার নিকটাত্মীয়। বিয়ে(সাদীর ক্ষেত্রেও মিঞা(ভূঁইয়া(চৌধুরী(চরিত্রবান কেউ আর খুঁজে না, শুধু খুঁজে কার কত টাকা আছে, কে কত ঘুষখোর। ৪० ধর্মীয় রীতিনীতি যেখানে বেশী থাকার কথা সেখানেই বেশী অধার্মিক কার্যকলাপের প্রচলন, সূচিকিৎসালয়েই চলে কুচিকিৎসা, সুশিক্ষা কেন্দ্রেই চলে কুশিক্ষা, দুর্নীতি দমনেই চলে দুর্নীতি ইন্ধন, সুস্বাধু খাদ্যেই রয়েছে অস্বাধু খাদ্য অর্থাৎ যাদের কাছে জনসাধারণের আমানত বা নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের হাতেই আজ জনগণ বেশী অনিরাপদ(লাঞ্ছিত(শোষিত। এক কথায় শিক্ষক, পুলিশ, ডাক্তার, উকিল, ইঞ্জিনিয়ার তথা রাজনীতিবিদদের অত্যাচারে আজ নীরিহ জনগণ দিশেহারা। এ দিশেহারা জাতিকে কে দেবে দিশার সন্ধান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র(ছাত্রীরা অর্থাৎ যাদের উপর জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর তারা শিক্ষাজীবন শেষ করে নতুন কিছু উদ্ভাবনে মনোনিবেশ না করে পাগলা কুকুরের মত টাকা বা দুর্নীতির পেছনে ঘুরে। ফলে নিজের দেশে তেমন কিছু তৈরী বা আবিষ্কার না করে শুধু বিদেশী পণ্য বা সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী হয়ে পরমুখাপেক্ষী হয়ে পড়েছি।
চীন, ভারত, মালয়েশিয়া আজ তাদের নিজস্ব তৈরী পণ্য সারা বিশ্ববাজারে প্রচলনের জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছে সেখানে আজ আমরা কোথায় আছি।
যাদের পরিচালনায় আজ জাতি চলছে তাদের গোঁড়ামি বা পুরানো রীতির অবস্থা চিন্তা করলে ক্ষোভের সাথে বলতে হয় এ পরিচালনযন্ত্রের অবসান९মৃত্যু० হয়ে তাদের সন্তানদের হাতে ক্ষমতা না এলে এ হতভাগা জাতির ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব নয়।
তবে হ্যাঁ,
‘‘সচেতন মানুষকে কুতুকুতু দিলে সাথে সাথে টের পায়, আর গন্ডারকে কুতুকুতু দিলে এক সপ্তাহ পরে টের পায়’’( আমরাও তাই।
এখন করণীয় ঃ
অতীতের সকল স্বার্থান্বেষী রাজনীতি ভুলে গিয়ে দেশের অভিজ্ঞমহলকে সম্পৃক্ত করে সরকার(বিরোধীদল একমত হয়ে সারাদেশ থেকে বাছাই করে সবচেয়ে প্রতিভাবান ९কম্পিউটারে অবশ্যই দক্ষ० প্রয়োজনীয় সংখ্যক একদল কলেজছাত্রকে অত্যন্ত উন্নতমানের যাবতীয় প্রশিক্ষণ এবং সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সুযোগ(সুবিধা প্রদান করে অতিরিক্ত স্বার্থত্যাগের কঠোর শপথের মাধ্যমে গড়ে তুলে নিতে হবে।
তাদেরকে প্রতিটি সেক্টরের প্রধান হিসাবে নিয়োগ করে জাতির ভবিষ্যত দায়িত্ব তাদের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।
তাদের করণীয়ঃ
সর্বপ্রথম দেশের প্রধান সমস্যা বিদ্যুতের চাহিদা উন্নতবিশ্বের মত ১০০५ স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে। তার জন্য যাই করা দরকার করতে হবে। ব্যক্তিবিশেষের উদ্ভাবন বা সূর্যের আলো থেকে প্রযুক্তি ঘাটিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগে কোন কুচক্রিমহল ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু করছে কিনা তা দেখতে হবে। কারণ প্রাণ থাকলে খাদ্যের প্রয়োজন হবে। আগে প্রাণ পরে খাদ্য। বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের প্রাণ বিদ্যুৎ আর উন্নয়ন হচ্ছে খাদ্য। বিদ্যুৎ ছাড়া না চলে কৃষি, না চলে রান্না তদুপরি অফিস, পড়ালেখা, কলকারখানা, সর্বোপরি কম্পিউটার তথা তথ্যপ্রযুক্তি।
ই( গভর্নেন্স চালুঃ
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া জাতির উন্নয়ন ১০০५ মিথ্যা। কারণ গোটা পৃথিবীর সব পদ্ধতিই কম্পিউটারে ঢুকে যাচ্ছে, কম্পিউটারरতথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া ডড়ৎষফ ৎবষধঃরড়হ অসম্ভব। তাই এসব প্রশাসকদের বুঝতে হবে কম্পিউটার সফ্ধসঢ়सটওয়্যার বা ওয়েবসাইট তৈরীর মাধ্যমেই দেশের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করা ছাড়া উপায় নেই। অর্থাৎ ড্রয়ার(পেন(পেপারলেস অফিসিয়্যাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে যাকে বলে ই(গভর্নেন্স সিস্টেম। আজকের বিশ্বায়নকে আজ আর কেউ আধুনিক বিশ্বায়ন বলতে চায় না। সবাই বলতে বাধ্য হচ্ছে ডিজিটাল বিশ্বায়ন। এই ডিজিটাল বিশ্বায়ন বা বিশ্বসভ্যতা কথাগুলো কম্পিউটার ছাড়া মূল্যহীন। এই কম্পিউটিং প্রযুক্তি এগুচ্ছে সুপাসনিক গতিতে। ডিজিটাল ভবিষ্যতের জানালায় আজ আমরা তাকিয়ে যেন হতবিহল হচ্ছি। যোতিষীর মত কী যেন দেখছি। কিন্তু হতবাক হচ্ছি কী ঘটবে এই ক্ষুদ্র একটি গ্রহে। এই গ্রহের মানব(দানব তো আর আগের মতো থাকছে না। যেন অন্যান্য গ্রহ(নক্ষত্রের আজবকান্ডের সাথে নিজেকে মেলাতে গিয়ে সুপারসনিক গতিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাহলে আমরা কী থেমে যাবোरु আত্মসমর্পন করবোरु না আমরা তো বীরের জাতি। লড়তে জানি। তাই ডিজিটাল গতিতে লড়তে হবে। তবে কম্পিউটার ছাড়া সম্ভব নয়। প্রমাণ পেয়েছি, এই যন্ত্রটিকে যে জাতি যত আগে মূল্যায়ণ করেছে সে জাতি তত আগে উন্নত হচ্ছে। চিনলি(না চিনলিনা( ঘাটের বোকা মাঝির মত যন্ত্রটিকে আর অবমূল্যায়ন করতে রাজি না। যা হারিয়েছি, হারিয়েছি, আর নয়।
‘বেকার সমস্যা’ যেকোন জাতির উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য সবধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাই বাঞ্চনীয়। অথচ আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাই কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তাবিহীন শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীই চাকরি পাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতাসহ ভিন্নপন্থা অবলম্বনের সুযোগ খুঁজছে। কেউ কেউ হয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী, কিলার, নেশাগ্রস্থ ইত্যাদি। আর কিছু কিছু ছাত্রছাত্রী ক্যারিয়ারমুখী শিক্ষার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে এখান থেকে ওখানে। কিন্তু এই দূরন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ ভর্তি পরীক্ষা বা চাকরির বাজারে টিকে থাকার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষাসহ কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নাই। আর এই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক বিকাশের জন্য সরকারি উদ্যোগের সাথে সংঘতি রেখে বেসরকারি উদ্যোগকেই উৎসাহিত করতে হবে। তবে পরমুখাপেক্ষী অর্থনৈতিক কলংকের বোঝা মাথায় রেখে উন্নত বিশ্বের পাগলাঘোড়ার মত অগ্রসরমান তথ্যপ্রযুক্তির পদযাত্রায় আমাদেরকে এগুতে হলে অত্যন্ত দেশপ্রেমিক, বিজ্ঞ, সৎ ও কর্মঠ একটি গোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে হবে।
সময়োপযোগি একটি বাস্তবমুখী সুশিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে যেখানে থাকবে না ভাষাरসংস্কৃতি শিক্ষার মৌলিক উপাদান বর্ণ९লেটার० উচ্চারণের ভুলের মহড়া ९ঙ, ঞ, জ, ন, স, ং, ঃ, প, চ ইত্যাদি ক্ষেত্রে०, সংক্ষেপিকরণের খামখেয়ালী ९ডাঃ, মোঃ, তাং, পীং, এস,এস,সিरএস।এস।সিरবি।এरএম।এ ইত্যাদি পাগলামি० প্রচলন। বিদেশী শব্দ লেখার ক্ষেত্রে ९ষ্টোর, ষ্টেশন, ফটোষ্ট্যাট, ম্যাজিষ্ট্রেট, রেজিষ্টার, ষ্টাফ० ভুলের সমারোহ, বিকৃত ইতিহাস, বাণিজ্যিক শিক্ষাদান, সিলেবাস বৈষম্য, প্রাইভেট টিউশনি, ধনীতান্ত্রিক উচ্চশিক্ষা ইত্যাদিকে বিবেচনায় রেখে একটি অভিজ্ঞ শিক্ষকগোষ্ঠী এবং নিখুঁত শিক্ষা পদ্ধতি।
সময়ের দাবী বা চাহিদার সাথে সংগতি রেখে বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির সর্বপ্রকার উন্নয়নের জন্যে সরকারের জোরালো ভূমিকা এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ১০০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত করে অত্যন্ত প্রতিভাবান শিক্ষক নিয়োগ করে বিজ্ঞান ও বাস্তবমুখী অত্যন্ত উন্নত শিক্ষাপদ্ধতি চালু করা। এসব করার জন্য যা করা দরকার কঠোর হাতে তার ব্যবস্থা করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষক এবং ছাত্রের অনুপাত ঠিক রেখে প্রকৃত জ্ঞানী চরিত্রবান পেশাদার শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে যাতে করে বিন্দুমাত্র দুর্নীতি, চলচাতুরী, লোভ, অজ্ঞানতা, ব্যবসায়িক মনোভাব, যৌনতা বিন্দুমাত্রও যেন না থাকে যা চলমান শিক্ষা পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত।
শিক্ষক বা শিক্ষার এমনি ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি বহাল রেখে এ ধরনের স্বপ্ন দেখা অমূলক। কারণ আমি শুনেছি ইংল্যান্ডের রাণীমাতা বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অসন্তোষ বা কর্মবিরতিতে বেশী বিচলিত হয়েছিলেন।
কৃষি, শিল্প, ব্যবসা, কুটনীতি, সরকারি(বেসরকারি, স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসন ইত্যাদি ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ সমাজ ব্যবস্থা প্রচলন।
শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী তৈরীর একটি অবাধ এবং ব্যাপক উন্মুক্ত গবেষণাগার। তাহলেই তো আমরা পাচ্ছি একটি পরিপূর্ণ সার্থক(সফল বাংলাদেশ এবং সার্থক বাঙালি জাতি যে জাতি শুধু যুদ্ধ জয় নয়, ক্রিকেট জয় নয়, স্বপ্ন দেখা নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী একটি মডেলিস্ট জাতি। যেখানে থাকবে ফুলপরীদের কোলাহলের মত ছোট শিশুদের আনন্দঘন একটি বাগান, জননীমায়ের বুকে মাথা রেখে গর্বিত সন্তানের সফল মাতৃভূমির দাবী, চুরি(ডাকাতি(রাহাজানিমুক্ত শান্ত সুন্দর ভাতৃপ্রতিম সমাজ। নারীरশিশু অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারমুক্ত ভদ্র জাতি। শহর বন্দর, রাস্তাঘাট দেখে মনে হবে না যে এখানে ছিল একদিন পেশীবাদীদের আধিপত্য, কোমলমতি শিশুদের ওপর অমানবিক অত্যাচার, নারীনির্যাতন, অধিকার আদায়ের জন্য ভিক্ষুকতুল্য হাহাকার(আত্মহুতি, বিদ্যুতের অসহনীয় অত্যাচার। মার্কেট দোকানপাট ইত্যাদিতে যেন বিরাজ করে এক স্বর্গীয় মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। রাস্তা বা ফুটপাতের নোংরা পরিবেশ ছাড়াও রিক্সা(ঠেলাগাড়ির মতো ছোটখাট যানবাহনমুক্ত, চুরি(ডাকাতি (রাহাজানিমুক্ত একটি নয়নাভিরাম শহর। সন্ত্রাসীর যেন চিহ্নও না থাকে, না থাকে যেন এই র্যাবের মতো অসাংবনিক বাহিনী, অফিস আদালতগুলো যেন সত্যিই এক একটি সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, সমাজের মানুষগুলোতে যেন নিত্য সোহার্দপূর্ণ ঈদের আমেজ। স্কুল কলেজ, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্রছাত্রীরা যেন চাঁদে মঙ্গল(গ্রহান্তরে ছুটে গিয়ে সৃষ্টিকর্তার সেই অনুপম লীলার রহস্য উদঘাটনে মেতে উঠে। আসুন, আমরা স্বপ্নবান জাতি। একুশ শতকের মধ্যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর হই।
আমরা হবো(
স্বনির্ভর জাতি।
১০০५ শিক্ষিত জাতি।
১০০५ নকলমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত জাতি।
আমাদের দেশেই যেন জন্মে সেই আইনস্টাইন, রুশো, নেপোলিয়ান, স্টিফেন হকিং, মাহাথির।
তাহলেই সম্ভব একটি স্বপ্নীল সুশীল সুন্দর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
উপসংহারঃ
নিজের ভুবনকে অর্থাৎ মাতৃভূমি আমার প্রিয় বাংলাদেশকে একুশ শতকের মধ্যে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক গড়ে তোলো, বিজ্ঞানের সুফল বা আশীর্বাদ কম্পিউটারের মাধ্যমে সব বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করে জটিল সব সমস্যার সমাধান করে পৃথিবীর অন্যান্য পেশাবাদী সন্ত্রাসী দেশের চেয়ে উন্নত সত্যিকার মানবধর্মী একটি বীর সভ্যজাতির বাংলাদেশ ‘‘আমার সোনার বাংলাদেশ’’ গড়ে তুলতে পারি। সর্বক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিই।
পৃথিবীর সব জাতিই একসময় বর্বর ছিল, তবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের কারণেই অনেকে তাড়াতাড়ি সভ্য জাতিতে পরিণত হয়। আমাদের অনেক সময় চলে গেছে, দেরী হয়ে গেছে, তবুও এখনও সময় আছে। আমরা সচেতন হই।
সঠিক সিদ্ধান্তই কাজের অর্ধেক সফলতা।
শিক্ষা, বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি (( এগুলোকে অবমূল্যায়ন করে উন্নত জাতিতে পরিণত হওয়া যায়না।
‘‘পড়ে জ্ঞানার্জন করে সৃষ্টির অনুপম রহস্য উদ্ঘাটনের জন্যেই সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করেছেন”।
একে কামাল
নিডাসা, খাগড়াছড়ি
তারিখस् ০১र৬र২০০৬http://aajkerfeni.com/
পেরিয়েছে। বর্বর যুগ, সভ্য যুগ, আধূনিক যুগ পেরিয়ে বিশ্ব যে ডিজিটাল যুগে চলে এসেছে তা ভাবলে অত্যন্ত হতাশচিত্তে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার থাকে না।
তবুও পৃথিবীর অন্য দশজনের মতো আমিও স্বপ্ন দেখছি একটি ‘‘স্বপ্নীল(সুন্দর ঐশ্বর্যবহুল ডিজিটাল বাংলাদেশ” যা ২০০২ সালে খাগড়াছড়িতে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং ২০০৬(এ একটি পাহাড়ী ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেছি। বাংলাদেশ বাস্তবেই হয়ে উঠে যেন সেই রূপকথার রাজ্যের প্রতিবিম্ব এবং প্রতিবেশীদের জন্য ঈর্ষণীয় ও অনুকরণীয়।
কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা পাই(
ব্যর্থরাষ্ট্রের কলঙ্কচিহ্ন বাংলার ললাটে।
দুর্নীতিতে ডাবল হ্যাট্রিক করার দুর্বার গতিতে বাংলাদেশ।
সারা পৃথিবীতে শান্তিপ্রিয় জাতির বৈশিষ্টে আমরা প্রথম কিন্তু কলুষিত রাজনীতিতেও আমরা প্রথম।
সুশিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এগুলোতে আমরা অগ্রসর আর পশ্চায়নের দিক থেকে বিপরীত সমান্তরাল।
এই ডিজিটাল বিশ্বায়নে উন্নতবিশ্ব যেখানে ন্যানো সেকেন্ড বা পিকো সেকেন্ডের গুরুত্ব বোঝে সেখানে আমরা বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম স্থগিত বা বিদ্যুতের অভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন অলসভাবে বসে থেকে কলকারখানা, অফিস(আদালতের গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম না করে প্রতিপক্ষের সমালোচনায় অযথা সময় নষ্ট করতেও একটু দ্বিধাবোধ করি না। ृ১ পিকো সেকেন্ড. ১ সেকেন্ডের ১ ট্রিলিয়ন ভাগের ১ ভাগे
বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, সুশিক্ষা ছাড়া যেখানে উন্নয়ন প্রায় অসম্ভব, সেখানে এ অপরিহার্য ৩ সেক্টরের লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে আজ আমরা অল্পশোকে কাতর অধিকশোকে পাথর হওয়ার মতো।
এ স্যাটেলাইটের যুগে এসেও আমাদের এ স্বাধীন দেশে সেই কয়েকশ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ বিচারবিধিতে অর্থাৎ ‘‘পরের মুখে শেখা বুলি নটের মত কেন চলি’’ ছন্দে রাষ্ট্রীয় শাসনকার্য পরিচালনা করা হচ্ছে। যুগের আমূল পরিবর্তন হলেও নীতিরरপদ্ধতির পরিবর্তন হয়নি। আমরা ভাবছি না( ১০০ বছর আগের সার্বিক পরিস্থিতি আর ১০০ বছর পরের সার্বিক পরিস্থিতি এক নয়।
একটি বাস্তবমুখী শিক্ষাব্যবস্থা, উপযুক্ত শিক্ষক, পর্যাপ্ত শিক্ষালয় ছাড়া পৃথিবীতে কোন জাতির স্বপ্নপূরণ বিরল। অথচ আমাদের অবস্থা হচ্ছে( যার নাই কোন গতি সে করে পন্ডিতি, তদুপরি দুর্নীতি(স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের এমপিওভূক্তি, ব্যবসায়িক মনোভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু, আদর্শহীন লোকদের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অডিট কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষকদের দ্বারা কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের যৌন হয়রানী ইত্যাদি ছাড়াও যেখানে অখাতে, অপথে নষ্ট হয়ে যাওয়া হাজার কোটি টাকা থেকে মাত্র ৩र৪ শ কোটি টাকা শিক্ষাरশিক্ষকদের জন্য খরচ করাকে আমরা অক্ষমতা মনে করছি, সেখানে একুশ শতকের স্বপ্নবান চিন্তাধারাকে কেমন মানায়रु
বিদ্যুৎ(কম্পিউটারবিহীন সমাজरসেক্টরरজাতি যেখানে অবলুপ্তির পথে সেখানে ডডযধঃ রং ঈড়সঢ়ঁঃবৎ ধহফ যিধঃদং রঃং ভঁহপঃরড়হ(বি ফড়হদঃ শহড়ি এই নীতিতে কেমন স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে ভাবতে গেলে চিৎকার করে বলতে হয় (এই পি(পু। ফি(শো’র দল ९অলস(ঘুমন্ত०, ঘুম থেকে উঠ্ধসঢ়स, পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছিস তো।
পৃথিবীর মানুষ আলাদিনের চেরাগ ९কম্পিউটার० হাতে পেয়ে পৃথিবীটাকে যেমন খুশী তেমন নাচাচ্ছে। আর আমরা আলাদিনের চেরাগটা ‘‘চিনলি না চিনলি না, ঘাটের বোকা মাঝি’’র মতো বারবার ফেলে দিচ্ছি। কারণ কম্পিউটারের আসল সুফল পেতে হলে ইন্টারনেট ছাড়া সম্ভব নয়। আর সেই ইন্টারনেটের ফাইবার অপটিক্যাল লাইন গত ১৯৯১(৯২ সালের দিকে আমাদের বঙ্গোপসাগরের নীচ দিয়ে চলে গেছে, আর আমাদেরকে এর
আওতায় আনতে অফার দেয়া হলেও গোপন তথ্য ফাঁসের হাস্যকর অজুহাতে সেই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে
আমরা বোকা জাতি ভুল করিনি যেমনি করে একসময় নিজঘরে বিদ্যুাতায়ণকেও অযৌক্তিক মনে করতাম। এর পরে ১৯৯৭ সালেও আন্তর্জাতিক ডেটা(টারমিন্যাল সেন্টার ঢাকায় বসানো থেকেও বঞ্চিত। আর সেই সুবিধাগুলো এখন হাজার কোটি টাকা খরচ করে নেয়াও কষ্ট হয়ে পড়েছে। এমনকি জাতি উন্নয়নের বাস্তব রুট থেকে কয়েক দশক পিছিয়ে পড়েছে যা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া কাউকে বোঝানো যাবে না।
বর্তমানে কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ তথা ডিপার্টমেন্টাল হেড বা স্কুল(কলেজ শিক্ষকদের ধারণা( ‘‘ইহা টাইপ মেশিনের বিকল্প। অফিস আদালতে টাইপের কাজই কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায়। আগে টাইপ ছাড়া অফিস চলতো না, এখন কম্পিউটার ছাড়া অফিস চলবে না’’। কম্পিউটারকে এত ছোট করে দেখার কারণেই আজ আমরা এর সুফল পাওয়ার চেষ্টা করছি না এবং সুফল পাচ্ছি না। তাছাড়া ডিপার্টমেন্টাল হেডদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞত্ধাসঢ়स না থাকার কারণে এর ব্যবহার বা মেইনটেনেন্স(এর ক্ষেত্রে প্রচন্ড বিপাকে পড়তে হয়। অধীনস্থ কেউ ডিপার্টমেন্টাল প্রধানকে এ ব্যাপারে বোঝাতে চেষ্টা করলেও তিনি বুঝতে চান না। ফলে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলোতে কোটি কোটি টাকার কম্পিউটার, প্রিন্টার, কাগজ(কালি নষ্ট বা অপচয় হচ্ছে। পরিনামে কম্পিউটারের মাধ্যমে জাতি সুফল(এর চেয়ে কুফলই পাচ্ছে বেশী।
আজ আমাদের দেশে সবকিছু যেন উল্টো অর্থাৎ নামের বিপরীত কাম। যেমন( যারা রাজনীতি করার কথা আজ তারা রাজনীতি করে না। গ্রামের সেই অজ্ঞ, বখাটে ছেলেটা রাজনীতিতে পারদর্শী, আর সেই(ই হচ্ছে আমাদের নেতা, প্রশাসক, নীতি নির্ধারক। ২० একটা পাড়াগাঁ তথা কোন প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে দেখা যায় অপেক্ষাকৃত বেশী শিক্ষিত ভদ্র জ্ঞানী লোকটি ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে নিরিবিলি অবহেলিতভাবে জীবন কাটাচ্ছে আর অশিক্ষিত চরিত্রহীন চাপাবাজ মিথ্যুক লোভী লোকটিই সমাজ পরিচালনা থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা মসজিদ(মন্দিরও পরিচালনা করছে। ৩० বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএস থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে নিয়োগের বিষয়ে আজ আর কেউ উপযুক্ততাरদক্ষতা বিচার করে না, শুধু বিচার করে কে কাকে কত টাকা দিতে পারবে বা কে কার নিকটাত্মীয়। বিয়ে(সাদীর ক্ষেত্রেও মিঞা(ভূঁইয়া(চৌধুরী(চরিত্রবান কেউ আর খুঁজে না, শুধু খুঁজে কার কত টাকা আছে, কে কত ঘুষখোর। ৪० ধর্মীয় রীতিনীতি যেখানে বেশী থাকার কথা সেখানেই বেশী অধার্মিক কার্যকলাপের প্রচলন, সূচিকিৎসালয়েই চলে কুচিকিৎসা, সুশিক্ষা কেন্দ্রেই চলে কুশিক্ষা, দুর্নীতি দমনেই চলে দুর্নীতি ইন্ধন, সুস্বাধু খাদ্যেই রয়েছে অস্বাধু খাদ্য অর্থাৎ যাদের কাছে জনসাধারণের আমানত বা নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের হাতেই আজ জনগণ বেশী অনিরাপদ(লাঞ্ছিত(শোষিত। এক কথায় শিক্ষক, পুলিশ, ডাক্তার, উকিল, ইঞ্জিনিয়ার তথা রাজনীতিবিদদের অত্যাচারে আজ নীরিহ জনগণ দিশেহারা। এ দিশেহারা জাতিকে কে দেবে দিশার সন্ধান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র(ছাত্রীরা অর্থাৎ যাদের উপর জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর তারা শিক্ষাজীবন শেষ করে নতুন কিছু উদ্ভাবনে মনোনিবেশ না করে পাগলা কুকুরের মত টাকা বা দুর্নীতির পেছনে ঘুরে। ফলে নিজের দেশে তেমন কিছু তৈরী বা আবিষ্কার না করে শুধু বিদেশী পণ্য বা সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী হয়ে পরমুখাপেক্ষী হয়ে পড়েছি।
চীন, ভারত, মালয়েশিয়া আজ তাদের নিজস্ব তৈরী পণ্য সারা বিশ্ববাজারে প্রচলনের জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছে সেখানে আজ আমরা কোথায় আছি।
যাদের পরিচালনায় আজ জাতি চলছে তাদের গোঁড়ামি বা পুরানো রীতির অবস্থা চিন্তা করলে ক্ষোভের সাথে বলতে হয় এ পরিচালনযন্ত্রের অবসান९মৃত্যু० হয়ে তাদের সন্তানদের হাতে ক্ষমতা না এলে এ হতভাগা জাতির ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব নয়।
তবে হ্যাঁ,
‘‘সচেতন মানুষকে কুতুকুতু দিলে সাথে সাথে টের পায়, আর গন্ডারকে কুতুকুতু দিলে এক সপ্তাহ পরে টের পায়’’( আমরাও তাই।
এখন করণীয় ঃ
অতীতের সকল স্বার্থান্বেষী রাজনীতি ভুলে গিয়ে দেশের অভিজ্ঞমহলকে সম্পৃক্ত করে সরকার(বিরোধীদল একমত হয়ে সারাদেশ থেকে বাছাই করে সবচেয়ে প্রতিভাবান ९কম্পিউটারে অবশ্যই দক্ষ० প্রয়োজনীয় সংখ্যক একদল কলেজছাত্রকে অত্যন্ত উন্নতমানের যাবতীয় প্রশিক্ষণ এবং সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সুযোগ(সুবিধা প্রদান করে অতিরিক্ত স্বার্থত্যাগের কঠোর শপথের মাধ্যমে গড়ে তুলে নিতে হবে।
তাদেরকে প্রতিটি সেক্টরের প্রধান হিসাবে নিয়োগ করে জাতির ভবিষ্যত দায়িত্ব তাদের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।
তাদের করণীয়ঃ
সর্বপ্রথম দেশের প্রধান সমস্যা বিদ্যুতের চাহিদা উন্নতবিশ্বের মত ১০০५ স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে। তার জন্য যাই করা দরকার করতে হবে। ব্যক্তিবিশেষের উদ্ভাবন বা সূর্যের আলো থেকে প্রযুক্তি ঘাটিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগে কোন কুচক্রিমহল ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু করছে কিনা তা দেখতে হবে। কারণ প্রাণ থাকলে খাদ্যের প্রয়োজন হবে। আগে প্রাণ পরে খাদ্য। বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের প্রাণ বিদ্যুৎ আর উন্নয়ন হচ্ছে খাদ্য। বিদ্যুৎ ছাড়া না চলে কৃষি, না চলে রান্না তদুপরি অফিস, পড়ালেখা, কলকারখানা, সর্বোপরি কম্পিউটার তথা তথ্যপ্রযুক্তি।
ই( গভর্নেন্স চালুঃ
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া জাতির উন্নয়ন ১০০५ মিথ্যা। কারণ গোটা পৃথিবীর সব পদ্ধতিই কম্পিউটারে ঢুকে যাচ্ছে, কম্পিউটারरতথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া ডড়ৎষফ ৎবষধঃরড়হ অসম্ভব। তাই এসব প্রশাসকদের বুঝতে হবে কম্পিউটার সফ্ধসঢ়सটওয়্যার বা ওয়েবসাইট তৈরীর মাধ্যমেই দেশের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করা ছাড়া উপায় নেই। অর্থাৎ ড্রয়ার(পেন(পেপারলেস অফিসিয়্যাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে যাকে বলে ই(গভর্নেন্স সিস্টেম। আজকের বিশ্বায়নকে আজ আর কেউ আধুনিক বিশ্বায়ন বলতে চায় না। সবাই বলতে বাধ্য হচ্ছে ডিজিটাল বিশ্বায়ন। এই ডিজিটাল বিশ্বায়ন বা বিশ্বসভ্যতা কথাগুলো কম্পিউটার ছাড়া মূল্যহীন। এই কম্পিউটিং প্রযুক্তি এগুচ্ছে সুপাসনিক গতিতে। ডিজিটাল ভবিষ্যতের জানালায় আজ আমরা তাকিয়ে যেন হতবিহল হচ্ছি। যোতিষীর মত কী যেন দেখছি। কিন্তু হতবাক হচ্ছি কী ঘটবে এই ক্ষুদ্র একটি গ্রহে। এই গ্রহের মানব(দানব তো আর আগের মতো থাকছে না। যেন অন্যান্য গ্রহ(নক্ষত্রের আজবকান্ডের সাথে নিজেকে মেলাতে গিয়ে সুপারসনিক গতিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাহলে আমরা কী থেমে যাবোरु আত্মসমর্পন করবোरु না আমরা তো বীরের জাতি। লড়তে জানি। তাই ডিজিটাল গতিতে লড়তে হবে। তবে কম্পিউটার ছাড়া সম্ভব নয়। প্রমাণ পেয়েছি, এই যন্ত্রটিকে যে জাতি যত আগে মূল্যায়ণ করেছে সে জাতি তত আগে উন্নত হচ্ছে। চিনলি(না চিনলিনা( ঘাটের বোকা মাঝির মত যন্ত্রটিকে আর অবমূল্যায়ন করতে রাজি না। যা হারিয়েছি, হারিয়েছি, আর নয়।
‘বেকার সমস্যা’ যেকোন জাতির উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য সবধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাই বাঞ্চনীয়। অথচ আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাই কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তাবিহীন শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীই চাকরি পাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতাসহ ভিন্নপন্থা অবলম্বনের সুযোগ খুঁজছে। কেউ কেউ হয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী, কিলার, নেশাগ্রস্থ ইত্যাদি। আর কিছু কিছু ছাত্রছাত্রী ক্যারিয়ারমুখী শিক্ষার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে এখান থেকে ওখানে। কিন্তু এই দূরন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ ভর্তি পরীক্ষা বা চাকরির বাজারে টিকে থাকার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষাসহ কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নাই। আর এই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক বিকাশের জন্য সরকারি উদ্যোগের সাথে সংঘতি রেখে বেসরকারি উদ্যোগকেই উৎসাহিত করতে হবে। তবে পরমুখাপেক্ষী অর্থনৈতিক কলংকের বোঝা মাথায় রেখে উন্নত বিশ্বের পাগলাঘোড়ার মত অগ্রসরমান তথ্যপ্রযুক্তির পদযাত্রায় আমাদেরকে এগুতে হলে অত্যন্ত দেশপ্রেমিক, বিজ্ঞ, সৎ ও কর্মঠ একটি গোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে হবে।
সময়োপযোগি একটি বাস্তবমুখী সুশিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে যেখানে থাকবে না ভাষাरসংস্কৃতি শিক্ষার মৌলিক উপাদান বর্ণ९লেটার० উচ্চারণের ভুলের মহড়া ९ঙ, ঞ, জ, ন, স, ং, ঃ, প, চ ইত্যাদি ক্ষেত্রে०, সংক্ষেপিকরণের খামখেয়ালী ९ডাঃ, মোঃ, তাং, পীং, এস,এস,সিरএস।এস।সিरবি।এरএম।এ ইত্যাদি পাগলামি० প্রচলন। বিদেশী শব্দ লেখার ক্ষেত্রে ९ষ্টোর, ষ্টেশন, ফটোষ্ট্যাট, ম্যাজিষ্ট্রেট, রেজিষ্টার, ষ্টাফ० ভুলের সমারোহ, বিকৃত ইতিহাস, বাণিজ্যিক শিক্ষাদান, সিলেবাস বৈষম্য, প্রাইভেট টিউশনি, ধনীতান্ত্রিক উচ্চশিক্ষা ইত্যাদিকে বিবেচনায় রেখে একটি অভিজ্ঞ শিক্ষকগোষ্ঠী এবং নিখুঁত শিক্ষা পদ্ধতি।
সময়ের দাবী বা চাহিদার সাথে সংগতি রেখে বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির সর্বপ্রকার উন্নয়নের জন্যে সরকারের জোরালো ভূমিকা এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ১০০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত করে অত্যন্ত প্রতিভাবান শিক্ষক নিয়োগ করে বিজ্ঞান ও বাস্তবমুখী অত্যন্ত উন্নত শিক্ষাপদ্ধতি চালু করা। এসব করার জন্য যা করা দরকার কঠোর হাতে তার ব্যবস্থা করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষক এবং ছাত্রের অনুপাত ঠিক রেখে প্রকৃত জ্ঞানী চরিত্রবান পেশাদার শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে যাতে করে বিন্দুমাত্র দুর্নীতি, চলচাতুরী, লোভ, অজ্ঞানতা, ব্যবসায়িক মনোভাব, যৌনতা বিন্দুমাত্রও যেন না থাকে যা চলমান শিক্ষা পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত।
শিক্ষক বা শিক্ষার এমনি ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি বহাল রেখে এ ধরনের স্বপ্ন দেখা অমূলক। কারণ আমি শুনেছি ইংল্যান্ডের রাণীমাতা বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অসন্তোষ বা কর্মবিরতিতে বেশী বিচলিত হয়েছিলেন।
কৃষি, শিল্প, ব্যবসা, কুটনীতি, সরকারি(বেসরকারি, স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসন ইত্যাদি ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ সমাজ ব্যবস্থা প্রচলন।
শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী তৈরীর একটি অবাধ এবং ব্যাপক উন্মুক্ত গবেষণাগার। তাহলেই তো আমরা পাচ্ছি একটি পরিপূর্ণ সার্থক(সফল বাংলাদেশ এবং সার্থক বাঙালি জাতি যে জাতি শুধু যুদ্ধ জয় নয়, ক্রিকেট জয় নয়, স্বপ্ন দেখা নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী একটি মডেলিস্ট জাতি। যেখানে থাকবে ফুলপরীদের কোলাহলের মত ছোট শিশুদের আনন্দঘন একটি বাগান, জননীমায়ের বুকে মাথা রেখে গর্বিত সন্তানের সফল মাতৃভূমির দাবী, চুরি(ডাকাতি(রাহাজানিমুক্ত শান্ত সুন্দর ভাতৃপ্রতিম সমাজ। নারীरশিশু অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচারমুক্ত ভদ্র জাতি। শহর বন্দর, রাস্তাঘাট দেখে মনে হবে না যে এখানে ছিল একদিন পেশীবাদীদের আধিপত্য, কোমলমতি শিশুদের ওপর অমানবিক অত্যাচার, নারীনির্যাতন, অধিকার আদায়ের জন্য ভিক্ষুকতুল্য হাহাকার(আত্মহুতি, বিদ্যুতের অসহনীয় অত্যাচার। মার্কেট দোকানপাট ইত্যাদিতে যেন বিরাজ করে এক স্বর্গীয় মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। রাস্তা বা ফুটপাতের নোংরা পরিবেশ ছাড়াও রিক্সা(ঠেলাগাড়ির মতো ছোটখাট যানবাহনমুক্ত, চুরি(ডাকাতি (রাহাজানিমুক্ত একটি নয়নাভিরাম শহর। সন্ত্রাসীর যেন চিহ্নও না থাকে, না থাকে যেন এই র্যাবের মতো অসাংবনিক বাহিনী, অফিস আদালতগুলো যেন সত্যিই এক একটি সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, সমাজের মানুষগুলোতে যেন নিত্য সোহার্দপূর্ণ ঈদের আমেজ। স্কুল কলেজ, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্রছাত্রীরা যেন চাঁদে মঙ্গল(গ্রহান্তরে ছুটে গিয়ে সৃষ্টিকর্তার সেই অনুপম লীলার রহস্য উদঘাটনে মেতে উঠে। আসুন, আমরা স্বপ্নবান জাতি। একুশ শতকের মধ্যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর হই।
আমরা হবো(
স্বনির্ভর জাতি।
১০০५ শিক্ষিত জাতি।
১০০५ নকলমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত জাতি।
আমাদের দেশেই যেন জন্মে সেই আইনস্টাইন, রুশো, নেপোলিয়ান, স্টিফেন হকিং, মাহাথির।
তাহলেই সম্ভব একটি স্বপ্নীল সুশীল সুন্দর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
উপসংহারঃ
নিজের ভুবনকে অর্থাৎ মাতৃভূমি আমার প্রিয় বাংলাদেশকে একুশ শতকের মধ্যে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক গড়ে তোলো, বিজ্ঞানের সুফল বা আশীর্বাদ কম্পিউটারের মাধ্যমে সব বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করে জটিল সব সমস্যার সমাধান করে পৃথিবীর অন্যান্য পেশাবাদী সন্ত্রাসী দেশের চেয়ে উন্নত সত্যিকার মানবধর্মী একটি বীর সভ্যজাতির বাংলাদেশ ‘‘আমার সোনার বাংলাদেশ’’ গড়ে তুলতে পারি। সর্বক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিই।
পৃথিবীর সব জাতিই একসময় বর্বর ছিল, তবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের কারণেই অনেকে তাড়াতাড়ি সভ্য জাতিতে পরিণত হয়। আমাদের অনেক সময় চলে গেছে, দেরী হয়ে গেছে, তবুও এখনও সময় আছে। আমরা সচেতন হই।
সঠিক সিদ্ধান্তই কাজের অর্ধেক সফলতা।
শিক্ষা, বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি (( এগুলোকে অবমূল্যায়ন করে উন্নত জাতিতে পরিণত হওয়া যায়না।
‘‘পড়ে জ্ঞানার্জন করে সৃষ্টির অনুপম রহস্য উদ্ঘাটনের জন্যেই সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করেছেন”।
একে কামাল
নিডাসা, খাগড়াছড়ি
তারিখस् ০১र৬र২০০৬http://aajkerfeni.com/
No comments:
Post a Comment