March 25, 2017

কবিতা নয় তথ্যভান্ডার

কবিতা নয় তথ্যভান্ডার
১৪০০ কোটি বছরের বিশ্বজগতে ১৪০০ কোটি গ্যালাক্সি
কেউ কি আমার সাজিয়ে দিবেন এলোমেলো লিখছি -------
মহান কুদরত তুমি রেখেছিলে আমায়
তোমার নেহামতের স্থান বেহেস্তে,
তোমার ইচ্ছায় মায়ের উদরে ফেলে দিলে বসতে।
দশমাস দশদিন রেখে মা আনলেন তাঁর কোলে,
কিছুই বুঝিনি আমি তোমার কুদরত আসলে।
কত যন্ত্রণা দিয়েছি নাকি মাকে, খেয়েছি মায়ের বুক,
তাকি আমার স্মরণ আছে? স্মরণ আছে কি দুধ?
সেরাস্থান পৃথিবীর মায়ের কোল হাতপা নেড়ে খেলি,
কী কষ্ট সেদিন পেয়েছিলেন মা বুঝিনি তখন আমি।
শুধু মনে আছে মা যখন খেলতে পাঠালেন উন্মুক্ত মাঠে,
হা-ডুডুসহ, ঘুড়ি উড়ানো, গোল্লাছুটের ডানপিঠে।
মায়ের সাথে আত্মীয়ের বাড়ি, বাবার সাথে হাটে,
ফের্ওিয়ালার আইস্ক্রীমসহ কত কিযে পেটে।
পাড়া-মহল্লার অনুষ্ঠান আর স্কুল-কলেজের নাটক
দেখবো, খেলবো, হাসবো শুধু এইতো সবার ছবক।
শস্য-শ্যামল গাছপালা আর সবুজমাঠের চিরণি
কমলা-লেবুর মতো শুধু এইতো মোদের ধরণী।
বড় হয়ে বুঝলাম কিন্তু এটা নয় চিরস্থায়ী,
মরতে হবে সবার একদিন যেতে হবে কবরে,
ভালো-মন্দের বিচার হবে থাকতে হবে বেহেস্তে বা দোজগে।
স্কুলেতে জানতে পারলাম নয়টি গ্রহের সৌরজগৎ,
কেন্দ্রে আছে সূর্য নামের নক্ষত্রটি বৃহৎ।
ভাবিনি তো তখন মোরা অন্ধকার রাতের তারা,
লক্ষকোটি ঝিকিমিকি করছে আকাশ সারা।
কোরআন-হাদিস-বিজ্ঞান পড়ে দেখছি,
লক্ষকোটি বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন নক্ষত্র নিয়ে গ্যালাক্সি।
ছায়াপথ বানিয়ে রেখেছেন মহাপরাক্রমশালী হাকীম,
অসীম কুদরতের অধিকারী মহান রাব্বুল আলামীন।
কেবা এই কুদরত, কোথায়বা তার স্থান, কেমনইবা তার আকার?
নিজ দেহের প্রাণ যেমন, দুনিয়ার প্রাণ তিনি,
দখা যায় না, অথচ আছে।
বুকের মাঝে প্রাণের স্থান সারা শরীরে তার প্রভাব।
কীভাবে নড়ে হাত-পা, কীভাবে চোখকান,
কেবা কখন চালান আমার শরীর ও প্রাণ
কে নিয়ন্ত্রণ করে আমার পুরো শরীরকে? নিশ্চয়ই প্রাণ।
তেমনিভাবে সারা জাহানের প্রাণতো তিনি সেই মহান রাব্বুল আলামীন
যাকে এজগতে দেখা সম্ভব নয় কিন্তু আছে।
কীভাবে এতোগুলো গ্রহ-নক্ষত্র তারাকারাজি শূন্যে ভাসছে নিয়ত,
কেবা এতো শক্তিধর, কে চালায় অবিরত।
ট্রিলিয়ন-ট্রিলিয়ন টনের একটি নক্ষত্রকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুর্ণায়মান রেখে,
 ট্রিলিয়ন-ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সির কক্ষপথ সুচারুরূপে সংঘাত ছাড়া সুনির্দিষ্ট শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখা।
কে সে বলে অটোমেটিক, আহম্মকীর ফল,
অভিসপ্ত ঘাপেল বদ-নসিবের জাহান্নামী দল।
মহাবিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ পৃথিবীর বয়স যার প্রমাণ মিলে কোরআন (৪১:৭) এবং বিজ্ঞানে
সীমিতজ্ঞানে মানবদৃশ্যের ১৪০০ কোটি গ্যালাক্সির র্পও দেখা যায় আরও আছে আরও আছে,
যত খুঁজে তত আছে দেখা যায় অসীম,
তাই তো বলে কুরআান (৫১:৪৭)- জগৎ সম্প্রসারণশীল।
এ কে কামাল
কবিতা নয় তথ্যভান্ডার
১৪০০ কোটি বছরের বিশ্বজগতে ১৪০০ কোটি গ্যালাক্সি
কেউ কি আমার সাজিয়ে দিবেন এলোমেলো লিখছি -------
মহান কুদরত তুমি রেখেছিলে আমায়
তোমার নেহামতের স্থান বেহেস্তে,
তোমার ইচ্ছায় মায়ের উদরে ফেলে দিলে বসতে।
দশমাস দশদিন রেখে মা আনলেন তাঁর কোলে,
কিছুই বুঝিনি আমি তোমার কুদরত আসলে।
কত যন্ত্রণা দিয়েছি নাকি মাকে, খেয়েছি মায়ের বুক,
তাকি আমার স্মরণ আছে? স্মরণ আছে কি দুধ?
সেরাস্থান পৃথিবীর মায়ের কোল হাতপা নেড়ে খেলি,
কী কষ্ট সেদিন পেয়েছিলেন মা বুঝিনি তখন আমি।
শুধু মনে আছে মা যখন খেলতে পাঠালেন উন্মুক্ত মাঠে,
হা-ডুডুসহ, ঘুড়ি উড়ানো, গোল্লাছুটের ডানপিঠে।
মায়ের সাথে আত্মীয়ের বাড়ি, বাবার সাথে হাটে,
ফের্ওিয়ালার আইস্ক্রীমসহ কত কিযে পেটে।
পাড়া-মহল্লার অনুষ্ঠান আর স্কুল-কলেজের নাটক
দেখবো, খেলবো, হাসবো শুধু এইতো সবার ছবক।
শস্য-শ্যামল গাছপালা আর সবুজমাঠের চিরণি
কমলা-লেবুর মতো শুধু এইতো মোদের ধরণী।
বড় হয়ে বুঝলাম কিন্তু এটা নয় চিরস্থায়ী,
মরতে হবে সবার একদিন যেতে হবে কবরে,
ভালো-মন্দের বিচার হবে থাকতে হবে বেহেস্তে বা দোজগে।
স্কুলেতে জানতে পারলাম নয়টি গ্রহের সৌরজগৎ,
কেন্দ্রে আছে সূর্য নামের নক্ষত্রটি বৃহৎ।
ভাবিনি তো তখন মোরা অন্ধকার রাতের তারা,
লক্ষকোটি ঝিকিমিকি করছে আকাশ সারা।
কোরআন-হাদিস-বিজ্ঞান পড়ে দেখছি,
লক্ষকোটি বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন নক্ষত্র নিয়ে গ্যালাক্সি।
ছায়াপথ বানিয়ে রেখেছেন মহাপরাক্রমশালী হাকীম,
অসীম কুদরতের অধিকারী মহান রাব্বুল আলামীন।
কেবা এই কুদরত, কোথায়বা তার স্থান, কেমনইবা তার আকার?
নিজ দেহের প্রাণ যেমন, দুনিয়ার প্রাণ তিনি,
দখা যায় না, অথচ আছে।
বুকের মাঝে প্রাণের স্থান সারা শরীরে তার প্রভাব।
কীভাবে নড়ে হাত-পা, কীভাবে চোখকান,
কেবা কখন চালান আমার শরীর ও প্রাণ
কে নিয়ন্ত্রণ করে আমার পুরো শরীরকে? নিশ্চয়ই প্রাণ।
তেমনিভাবে সারা জাহানের প্রাণতো তিনি সেই মহান রাব্বুল আলামীন
যাকে এজগতে দেখা সম্ভব নয় কিন্তু আছে।
কীভাবে এতোগুলো গ্রহ-নক্ষত্র তারাকারাজি শূন্যে ভাসছে নিয়ত,
কেবা এতো শক্তিধর, কে চালায় অবিরত।
ট্রিলিয়ন-ট্রিলিয়ন টনের একটি নক্ষত্রকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুর্ণায়মান রেখে,
 ট্রিলিয়ন-ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সির কক্ষপথ সুচারুরূপে সংঘাত ছাড়া সুনির্দিষ্ট শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখা।
কে সে বলে অটোমেটিক, আহম্মকীর ফল,
অভিসপ্ত ঘাপেল বদ-নসিবের জাহান্নামী দল।
মহাবিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ পৃথিবীর বয়স যার প্রমাণ মিলে কোরআন (৪১:৭) এবং বিজ্ঞানে
সীমিতজ্ঞানে মানবদৃশ্যের ১৪০০ কোটি গ্যালাক্সির র্পও দেখা যায় আরও আছে আরও আছে,
যত খুঁজে তত আছে দেখা যায় অসীম,
তাই তো বলে কুরআান (৫১:৪৭)- জগৎ সম্প্রসারণশীল।
এ কে কামাল

No comments:

Post a Comment

---হামাস কী এবং কেন ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করছে

--- হামাস   কী   এবং   কেন   ইসরাইলের   সাথে   যুদ্ধ   করছে হামাস   ২০০৭   সালের   নির্বাচনে   জয়ী   হলেও   তাদের   পরো   ফিলিস্তিনের   ক্ষম...